|
| সেবা প্রদান/প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অসুবিধাসমূহ | |
ক্রমিক নং | সেবা | নাগরিক পর্যায় | সরকারী পর্যায় |
1 | বেতন ভাতাদির বিল পাশ | বাজেট ভিত্তিক বেতন ভাতাদির ক্ষেত্রে বরাদ্দপত্র সময়মত না পৌছার কারণে বেতন ভাতা পেতে বিলম্ব হয়। (খ) বদলীর ক্ষেত্রে নতুন কর্মস্থলে এলপিসি সময়মত না পৌছার কারনে বিল পেতে বিলম্ব হয়। (গ) হাতে হাতে এলপিসি পাওয়া যায় না। | (ক) একাধিক মন্ত্রণালয়, বিভাগ অধিদপ্তর/পরিদপ্তর সত্বর অতিক্রম করতঃ ডাকযোগে বরাদ্দ পত্র জারী ও প্রেরনে অনেক জনবল ও সময়ের প্রয়োজন হয় বিধায় সেবা প্রদান ত্বরান্বিত হয় না। (খ) লোকবলের অভাবে সময়মত এলপিসি জারী করা/প্রতিস্বাক্ষর করা যায় না। (গ) এলপিসির মাধ্যমে জিপিএফ হিসাবে জমাকৃত টাকা স্থানান্তরিত হয় বিধায় হাতে হাতে এলপিসি দেয়া যায় না। |
2 | বেতন নির্ধারণ | অর্থ মমএণলায় ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আদেশ/ব্যাখ্যা জারী করে যাহা সংশ্লিষ্ট নাগরিক সব সময় জানতে পারে না। সংশ্লিষ্ট আদেশের কপি পায় না। | একাধিক মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত আদেশ/ব্যাখ্যা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছাতে অনেক বিলম্ব হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট আদেশের কপি পৌছে না। |
3 | ছুটির হিসাব সংরক্ষণ | বিভিন্ন সময়ে ভোগকৃত ছুটি, পাওনা ছুটির পরিমান জানতে পারেনা। | লোকবলের অভাবে সময়মত ছুটির তথ্য লিপিবদ্ধ এুমে ছুটির হিসাব হালনাগাদ করা যায় না। |
4 | এলপিসি ইস্যু/প্রতিস্বাক্ষর করণ | সময়মত এলপিসি না পাওয়ার কারনে নানা রকমের অসুবিধা ভোগ করতে হয়। | লোকবলের স্বল্পতার কারনে দ্রুতগতিতে এলপিসি ইস্যু/প্রতিস্বাক্ষর করা সম্ভব হয় না। |
5 | সরবরাহ ও সেবা,মেরামত ও সংরক্ষণ এবং অন্যান্য খাতের বিল পাশ | বরাদ্দ পত্র, মঞ্জুরী পত্র যথাসময়ে পৌছায় না বিধায় সেবা পেতে বিলম্ব হয়। | (ক)বরাদ্দপত্র, মঞ্জুরীপত্র বিভিন্ন সতর অতিক্রম করে বিধায় যথাসময়ে পাওয়া যায় না। কোন কোন সময় সংশ্লিষ্ট পত্র পথিমধ্যে হারিয়ে যায়। (খ) অনেক সময় বরাদ্দপত্রের ফটোস্ট্যাট কপি পাওয়া যায়। উহার সঠিকতা যাচাই করতে বিলম্ব হয়। |
6 | জিপিএফ অগ্রিম/চূড়ামত পরিশোধ | স্ব-স্ব অফিসের রেকর্ড রাখা হয় না বিধায় চাঁদাদাতা যখন তখন তার হিসাবে জমাকৃত টাকার পরিমাণ জানতে পারেনা। ফলে অগ্রিমের পরিমাণ নির্ধারণ ও মঞ্জুরী পেতে বিলম্ব হয়। | লোকবলের অভাবে রেকর্ডপত্র হাল নাগাদ রাখা যায় না। |
7 | সরকারী কর্মচারীদের বিভিন্ন ঋণ ও অগ্রিম পরিশোধ। | গৃহনির্মাণ,মটর সাইকেল,মটরগাড়ী ইত্যাদি ঋণ ও অগ্রিম মঞ্জুরী দীর্ঘ সূত্রতার কারনে সময়মত অর্থ পায়না। | মঞ্জুরী পত্রের সাথে অথরিটি পত্র পাওয়া যায় না বিধায় বিল পাশে বিলম্ব হয়। |
8 | পেনশন ও আনুতোষিক পররেশাধ। | চাকুরীবহি, চাকুরী বিবরণী, চাকুরী নিয়মিত করন আদেশ,চাকুরীকাল যাচাই ইত্যাদি হাল নাগাদ করা থাকে না বিধায় পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরী আদেশ পেতে বিলম্ব হয়। | চাকুরী নিয়মিতকরন আদেশ, চাকুরী কাল যাচাই, বেতন নির্ধারন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনিয়ম থাকার কারনে পেনশন ও আনুতোষিক চূড়ান্ত করনে বিলম্ব হয়। |
9 | সিএও অফিসের অথরিটির ভিত্তিতে অনুদান ও প্রকল্পের ছাড়পত্র অর্থের বিল পাশ | বরাদ্দ পত্রের সাথে অথরিটি পত্র না পাওয়ার কারনে সেবা পেতে বিলম্ব হয়। | বরাদ্দপত্র ও অথরিটিপত্র যথাসময়ে পাওয়া যায়না ফলে বিল পাশে বিলম্ব হয়। |
10 | মন্ত্রণালয় ভিত্তিক প্রাপ্তি এবং অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন বাজেটের বিপরীতে ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ এবং তার ভিত্তিতে মাসিক হিসাব প্রনয়ন। | অনুন্নয়ন খাতের বাজেট বই না পাওয়ায় কোন খাতের টাকা কোন কোডে জমা দেয়া হবে তা নিশ্চিত হতে পারে না। | অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন বাজেট বই না পাওয়ার কারনে কোন কোন খাতে বাজেট রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। ফলে বাজেট এর খাত অনুযায়ী শুদ্ধ মাসিক হিসাবপ্রনয়নে যাচাই বাছাই করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। |
11 | বিভিন্ন আয়ন-ব্যয়ন অফিসের হিসাবের সাথে ইউএও অফিসে প্রণীত হিসাবের সংগতিসাধন | স্বচ্ছ ধারনা না থাকায় কোড ভিত্তিক হিসাব প্রণয়নে ভুল ভ্রান্তি থাকে। | বিভিন্ন আয়ন ব্যয়ন অফিস হতে মাসিক হিসাব ইউএও অফিসে পৌছায় না। ফলে মাসিক হিসাবের সংগতি সাধনে বিলম্ব হয়। |
12 | সোনালী ব্যংকের সাথে ইউএও অফিসের প্রাপ্তি ও পরিশোধের রিকনসিলিয়েশন করা | প্রাপ্তি ও পরিশোধ বাজেট সোনালী ব্যাংকে না থাকায় ব্যাংক এক খাতের টাকা অন্য খাতে জমা দেখায়। লোকবলের অভাবে সময়মত দৈনিক ব্যাংক স্ক্রল সরবরাহ করতে পারে না। | প্রতিদিনের ব্যাংক স্ক্রল, চালান, পরিশোধিত ভাউচার অর্থ বিভাগের নিদের্শনা মোতাবেক দৈনিক পাওয়া যায়না বিধায় রিকনসিলিয়েশনে বিলম্ব হয়। |
13 | সরকারী কোষাগারে জমাকৃত অর্থের চালান ভেরিফিকেশন | চালান ভেরিফিকেশনের জন্য দুর দুরান্ত থেকে ইউএও অফিসে আসা কষ্টকর। | লোকবলের অভাব থাকায় যখন তখন চালান ভেরিফিকেশন করা যায় না। |
14 | বিলে টোকেন নং প্রদান
| টোকেন নং পাওয়ার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। | লোকবলের অভাবে বিল উপসহাপন করার সাথে সাথে টোকেন নং দেয়া যায় না। |
15 | পাশ করা বিলের এডভাইস লিখন ও ব্যাংকে প্রেরণ | বিল পাশ হওয়ার পর এডভাইস এর জন্য আপেক্ষা করতে হয় আবার ব্যাংকে এডভাইস প্রেরণ না হলে বিলের টাকা পেতে বিলম্ব হয়। | লোকবলের অভাবে পাশ করা বিল সমূহের এডভাইস লিখতে এবং ব্যাংকে বিশেষদূত মারফত প্রেরণে বিলম্ব হয়। |
16 | জিপিএফ হিসাব খোলা, জিপিএফ ব্রডশীট ও লেজার সংরক্ষণ | জিপিএফ হিসাব নং পেতে বিলম্ব হয়। স্ব স্ব অফিসে জিপিএফ ব্রডশীট রেজিষ্ট্রার ও লেজার সংরক্ষণ করে না বিধায় প্রয়োজনীয় মুহুর্তে চাহিত তথ্য পেতে বিলম্ব হয়। | লোকবলের স্বল্পতার কারনে জিপিএফ হিসাব নং প্রদানে বিলম্ব হয় এবং ব্রডশীট রেজিষ্টার ও লেজার হাল নাগাদ করতে অনেক সময় লেগে যায়। |
17 | জিপিএফ সুদ গননা করা ও সমাপ্তি জের নির্ধারন করা | বৎসর শেষে জিপিএফ ব্যালেন্স জানতে পারে না। | লোক স্বল্পতার কারনে বাৎসরিক সুদ গননা করা এবং সমাপ্তির জের নির্ধারনে অনেক বিলম্ব হয়। |
18 | একাউন্টস স্লীপ জারী করা | বৎসর শেষে একাউন্টস স্লীপ না পাওয়া পর্যন্ত জিপিএফ হিসাবের সমাপ্ত জের সম্পর্কে জানতে পারে না একাউন্টস স্লীপ পেতে বিলম্ব হয়। | লোকবল না থাকায় বৎসর শেষে সুদ গননা করতঃ ব্যালেন্সিং করা এবং একাউন্টস স্লীপ জারী করতে অনেক সময় লেগে যায়। |
19 | প্রজাতন্ত্রের হিসাব চূড়ান্ত করন | প্রজাতন্ত্রের হিসাবের বিভিন্ন খাতের টাকা জমা ও উত্তোলনে সুনিদিষ্ট কোন হিসাব সংরক্ষণ করে না। | লোকবলের স্বল্পতার কারনে প্রজাতন্ত্রের শুদ্ধ হিসাব প্রনয়নে বিলম্ব হয়। |
20 | ঋণ ও অগ্রিমের সুদ গননা | ঋণ ও অগ্রিমের সুদ গননা করে না। ফলে সুদ বাবদ কত পরিশোধযোগ্য তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হয় | লোকবলের স্বল্পতার কারনে চাহিবা মাত্র সুদ গননা করে অবগত করাতে বিলম্ব হয়। |
21 | সিভিল অডিট কর্তৃক উত্থাপিত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা | সিভিল অডিট কখন কি আপত্তি দেয় তা সাথে সাথে জানতে পারেনা। আবার আপত্তির জবাব প্রদানের পর তার সর্বশেষ অবস্থা কি তা সহজেই বুঝতে পারেনা। | সিভিল অডিট আপত্তির নিষ্পত্তির জন্য আয়ন-ব্যয়ন অফিসের সহযোগীতা পেতে বিলম্ব হয়। |
উপজেলা একাউন্টস অফিসের প্রধান কাজ হল উপজেলা পর্যায়ের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংযুক্ত তহবিল এবং প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রাপ্তি ও প্রদানের যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করত: ১৩ অংকের কোডের বিপরীতে সঠিক, নিভুল ও মান সম্মত হিসাব প্রণয়ন করা।
এ অফিস হতে প্রতিমাসে উপজেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা, সরকারী অফিসের যাবতীয় সরবরাহ ও সেবা, সম্পদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান, বিভিন্ন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান, উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতের অনুদান ও প্রকল্পের ছাড়কৃত অর্থ ইত্যাদি সংশিষ্ট বিল অনুমোদন ও পরিশোধ করা হয়। এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা নির্ধারণ, জিপিএফ হিসাব সংরক্ষণ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পিপিও জারী, ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
উপজেলা একাউন্টস অফিসে কোন নগদ অর্থের লেনদেন হয় না। উপজেলা একাউন্টস অফিসারের পক্ষে সোনালী ব্যাংক, ট্রেজারী শাখা, সরকারী হিসাবের সকল লেনদেন সম্পন্ন করে থাকে। ট্রেজারী ব্যাংক কর্তৃক প্রেরিত চালান বা স্মারক মূলে প্রাপ্ত ব্যাংকের সমুদয় জমা ও প্রাপ্তির হিসাব উপজেলা একাউন্টস অফিসের হিসাবে অমত্মর্ভুক্ত হয়। এ অমত্মর্ভুক্তির কালে উপজেলা একাউন্টস অফিসারকে ব্যাংক থেকে প্রেরিত দৈনিক হিসাব বিবরণী ও এতদ্সংক্রামত্ম চালান ও স্মারক যথাযথভাবে পরীক্ষামেত্ম সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস